পাতিপুকুরে মাছ ব্যবসায়ীদের করোনা অ্যান্টিবডি টেস্ট

শোভঞ্জন দাশগুপ্ত
করোনা আবহে পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বড় মাছের বাজার পাতিপুকুরে মাছ ব্যবসায়ীদের করোনা অ্যান্টিবডি টেস্টের আয়োজন করা হল। প্রতিদিন এই মাছ বাজারে কম করে হলেও ক্রেতা এবং বিক্রেতা মিলিয়ে ৫ হাজারের বেশি মানুষের আনাগোনা হয়। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে এত মানুষের সমাগম স্থলে করোনার ঝুঁকি থেকেই যায়। তাই রাজ্যসভার সাংসদ তথা কলকাতা মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার শান্তনু সেনের উদ্যোগে পাতিপুকুর মাছ বাজারে করোনা অ্যান্টিবডি টেস্টের আয়োজন করা হয়।
উদ্যোক্তা সাংসদ শান্তনু সেনের কথায়, ‘যদি কোনও মৎস্য ব্যবসায়ীর করোনা পজেটিভ আসে তবে ঘাবড়ানোর কোনও কারণ নেই। তাঁদের যদি বাড়িতে থেকে চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকে তবে বাড়িতেই থাকবে। নতুবা তারা সেফ হোম বা হাসপাতালে যাবে। এছাড়াও লক্ষণ নেই এমন অনেকেই আছেন যাঁদের নেগেটিভ রিপোর্ট এলেও আবারও চিকিৎসা ও পরীক্ষার মাধ্যমে সুস্থ হয়ে উঠবেন।’
রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় করোনা অ্যান্টিবডি টেস্ট হলেও উত্তরোত্তর বাড়ছে করোনা। সে ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে শান্তনু সেন আরও জানিয়েছেন, ‘এ বিষয়ে চিন্তার কিছু নেই। যত বেশি টেস্ট হবে তত করোনা রোগী ধরা পড়বে। যত টেস্ট হবে তত মৃত্যুহার কমবে। টেস্ট করা ভালো তো। টেস্ট না করে মানুষ যদি লুকিয়ে থাকে তা তো ভালো নয়। তাহলে তো আরও ছড়াবে রোগ। এখনও যদি মানুষের মধ্যে সচেতনতা না আসে তবে আর কী বলা যাবে। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা দেখে মাস্ক পরা, যত্রতত্র থুতু ফেলা এগুলো বন্ধ করতে হবে। আর এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের আরও বেশি জনসচেতনতামূলক খবর পরিবেশন করতে হবে।’
পাতিপুকুর মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক তথা বিধনানগর পৌরনিগমের মেয়র পারিষদ সদস্য দেবাশিস জানা জানান, ‘করোনা অ্যান্টিবডি টেস্টের এই ধরনের আয়োজন খুব ভাল উদ্যোগ।’ কলকাতা মিউনিসিপাল কর্পোরেশন ও রাজ্যসভার সাংসদ তথা ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার শান্তনু সেনের এই মহৎ উদ্যোগে খুশি পাতিপুকুরে মৎস্য ব্যবসায়ীরা।
Comments are closed.