কালীঘাট নিউ লাইট এলাকায় ‘সমাজচ্যুত’দের পাশে সৃষ্টি ডান্স অ্যাকাডেমি
সুরঞ্জনা বন্দ্যোপাধ্যায়
পুজোর আগে কালীঘাট নিউ লাইট এলাকায় যৌনকর্মীদের পোশাক, খাদ্যসামগ্রী, মাস্ক বিলি করলেন বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী তথা প্রশিক্ষক ইন্দ্রাণী গঙ্গোপাধ্যায়, নৃত্যশিল্পী অলকানন্দা রায়। ‘২০২০ অন্যরকম পুজো’ শীর্ষক এই মহতী অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন শিল্প ও বিভিন্ন জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
হাতে মাত্র আর কয়েকটা দিন। অতিমারী করোনার অন্ধকার বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের আনন্দের রোশনাইকে কিছুটা আঁধারে ফেলে দিলেও পুরোপুরি অমাবস্যার মহানিশায় রূপান্তরিত করতে পারেনি। অতিমারীর মধ্যে চলছে বিভিন্ন ধরনের সমাজসেবা, মণ্ডপসজ্জার কাজ। তবে পুজোটা ওদেরও। সারাবছর আঁধারের খুপচি ঘরে কাটানো মানুষগুলকে খুশির আনন্দে রাঙিয়ে দিতে উদ্যোগী হলেন সৃষ্টি ডান্স অ্যাকাডেমির প্রতিষ্ঠাতা তথা বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী ইন্দ্রাণী গঙ্গোপাধ্যায়। কালীঘাট নিউ লাইট এলাকায় যৌনকর্মীদের মধ্যে বিতরণ করা হয় পোশাক, খাবার, মাস্ক, স্যানিটাইজার। উপস্থিত ছিলেন নৃত্যশিল্পী অলকানন্দা রায়, ঊর্মি বসু, ঊর্মি রায়, অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ, অভিনেতা সোহম মজুমদার, অভিনেত্রী তথা মিসেস ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল রিচা শর্মা-সহ শিল্পজগতের রথী-মহারথীরা।
অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ বলেন, “এইরকম একটি জায়গায় আসতে পেরে আমার খুব ভাল লাগছে। সবার পুজো ভাল কাটুক, সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন, আমি তাঁদের পাশে থাকতে চাই।” সৃষ্টি ডান্স অ্যাকাডেমির তরফে ইন্দ্রাণী গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “২০২০ সালটা আমরা কোভিড ১৯-এর মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। তারমধ্যে অন্যরকম পুজো ২০২০, সমাজসেবা মূলক কাজ খুব সুন্দরভাবে সাফল্যমণ্ডিত হয়েছে।” নৃত্যশিল্পী অলকানন্দা রায় বলেন, “এখানে আলাদা করে সময় দেওয়ার কিছু নেই, এটা আমাদের দায়িত্ব। ওদের বাচ্চারা, ওরা যেন সুস্থ জীবন পায়, সেই শুভকামনা জানাই।”
সত্যিই, প্রায় সমাজচ্যুত এক শ্রেণি, অথচ যাঁদের ঘরের মাটি ছাড়া দেবী দুর্গার আরাধনা অসম্পূর্ণ, তাঁদের প্রতি সম্মান জানানো উচিত সবার, এমনই মত আয়োজকদের। তাঁদের পাশে সর্বোপরি তাঁদের সন্তানরা যেন আগামীদিনে যেন সুস্থভাবে সমাজে বেঁচে থাকতে পারে, শারদ উৎসবের প্রাক লগ্নে এই শুভ কামনা আয়োজক সৃষ্টি ডান্স অ্যাকাডেমির।
Comments are closed.