কাঁসাই নদীর তীরে ফুলের উপত্যকাতে সাফাই অভিযান
নিজস্ব সংবাদদাতা: ‘দ্য ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স’ নামে পরিচিত দোকাণ্ডাকে আবর্জনা মুক্ত করতে এগিয়ে এল অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘মেদিনীপুর ক্যুইজ কেন্দ্র সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’। শনিবার সকালে সংগঠনের পক্ষ থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁসাই নদীর তীরে অবস্থিত ফুলচাষের জন্য বিখ্যাত গ্রাম দোকাণ্ডা এবং তৎসংলগ্ন এলাকার খেতগুলির আশেপাশের এলাকার আবর্জনা সাফাই করা হল। এদিন মোট ১১৭ বস্তা আবর্জনা পরিষ্কার করা হল।
‘ফুলের দেশে দিনের শেষে, কংসাবতীর নির্মলতা রক্ষা হোক’ এই বার্তাকে পাথেয় করে দোকাণ্ডায় আবর্জনা সাফাই অভিযানে হাত লাগালেন ক্যুইজ কেন্দ্রের সদস্য-সদস্যা-শুভানুধ্যায়ী এবং উষৎপুর সৌদামিনী হাইস্কুলের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকদের প্রায় পঞ্চাশ জনের একটি পরিবেশপ্রেমী স্বেচ্ছাসেবী দল।
এদিনের সাফাই অভিযান কর্মসূচি উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক চিত্তরঞ্জন দাশ ঠাকুর, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ড. মৌসম মজুমদার, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটির সম্পাদক কৃষ্ণপ্রসাদ ঘড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির সম্পাদক সুভাষ জানা, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি স্নেহাশিস চৌধুরী, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সপ্তর্ষি চক্রবর্তী-সহ সংগঠনের সদস্য-সদস্যারা।
শীতকালীন ফুলের মরসুমে সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি বহু চর্চিত বিষয় হয়ে ওঠে দোকাণ্ডা এবং পশ্চিম কল্লা-সহ পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার ফলে দূরদূরান্ত থেকে এখানে এসে ভিড় জমান বহু পর্যটক। তাদের মধ্যে একশ্রেণির পর্যটকের অপ্রীতিকর কাজের জন্য নষ্ট হচ্ছে এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। পর্যটকরা দোকাণ্ডায় এসে পিকনিক করার পরে থার্মোকলের থালা, বাটি-সহ অন্যান্য আবর্জনা ফেলে যাচ্ছেন এই ফুলের উপত্যকাতে। ফলে এখানকার পরিবেশ ভীষণভাবে অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠছে। উদ্যোক্তাদের তরফে এদিন শালপাতার থালার মতো পরিবেশ বান্ধব জিনিসপত্র ব্যবহারের আহ্বান জানানো হয়। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দায়িত্বটা শুধুমাত্র তাঁরা একা নিলে হবে না, পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার লক্ষ্যে সবাইকেই এগিয়ে আসতে হবে।
Comments are closed.