সুশান্ত-তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদ করতে রিয়া-সহ পরিবারকে তলব সিবিআইয়ের
জয়দীপ সেন
অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তে নেমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এবার অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী (Rhea Chakraborty) এবং তাঁর বাবাকে তলব করল সিবিআই (CBI)। অভিনেতার মৃত্যুর পর তাঁর (Sushant Singh Rajput) পরিবারের তরফে সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আর্থিক জালিয়াতি ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ করে তাঁর বিরুদ্ধে পাটনায় একটি মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে এই মামলা সিবিআইয়ের কাছে গেলে সুপ্রিম কোর্টও তাতে সায় দেয়। গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্ট তার রায়দানের পর শুক্রবার মুম্বইয়ে আসে সিবিআইয়ের একটি বিশেষ দল। রবিবার সুশান্ত রাজপুত সিংয়ের রাঁধুনি এবং তাঁর বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সিদ্ধার্থ পিঠানি একসময় সুশান্ত সিং রাজপুতের ফ্ল্যাটে থাকতেন এবং পরে তাঁর “ক্রিয়েটিভ ম্যানেজার” হিসাবেও কাজ করতে শুরু করেন। তিনি নিজেকে একজন অভিনেতা এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা বলেও দাবি করেন। এই মাসের শুরুর দিকে তাঁকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের থেকেও তলব করা হয়। সুশান্তের মৃত্যুর পর তাঁর অর্থ নয়ছয়ের অভিযোগ উঠলে সে বিষয়ে আলাদা করে তদন্ত শুরু করে ইডি।
গত ১৪ জুন বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতকে তাঁর বাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিক তদন্তের পর মুম্বই পুলিশ জানায় যে, সুশান্ত আত্মহত্যা করেছেন। যদিও তাঁর বাবা ছেলের মৃত্যুর পর অভিযোগের কাঠগড়ায় তুলেছেন সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীকে।
তদন্তে নেমে ১৩ জুন থেকে ১৪ জুন দুপুর পর্যন্ত ঠিক কী হয়েছিল, তা পুনর্নির্মাণ করতে প্রয়াত অভিনেতার আবাসনে অভিযান চালায় সিবিআই। ইতিমধ্যে সিদ্ধার্থ পিঠানি ও সুশান্তের রাঁধুনির বয়ান রেকর্ড করেছেন গোয়েন্দারা। ডিআরডিও’র মুম্বই অফিস এখন সিবিআইয়ের ওয়্যার হাউস। বয়ান রেকর্ড থেকে তদন্ত পরিচালনা এই অফিস থেকেই চালাচ্ছেন তাঁরা। এদিকে, প্রয়াত অভিনেতার ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেয়েছেন গোয়েন্দারা। কুপার হাসপাতালের তরফে সেই রিপোর্ট হস্তান্তর করা হয়েছে সিবিআইকে।
রিপোর্ট খতিয়ে দেখে জানা গিয়েছে, সুশান্তের গলায় মোটা দড়ির দাগ রয়েছে। অর্থাৎ শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। তাও এই রিপোর্ট এইমসের বিশেষজ্ঞ দলকে দিয়ে আরও একবার খতিয়ে দেখতে চায় সিবিআই। তাই চলতি সপ্তাহে মুম্বই পাড়ি দিচ্ছে এইমসের ফরেন্সিক দল। তাদের মন্তব্য, “আমরা খুনের দিকটা খতিয়ে দেখব। সেটা প্রমাণিত না হলে, মৃত্যুর অন্য কারণ খতিয়ে দেখা হবে।”
Comments are closed.