বিশ্বভারতীর ঘটনায় রাজ্যপালকে স্মারকলিপি যুব মোর্চার

শোভাঞ্জন দাশগুপ্ত
বিশ্বভারতীর সাম্প্রতিক ভাঙচুরের ঘটনায় অবশেষে রাজ্যপালের দ্বারস্থ বিজেপি যুব মোর্চা। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি দিলেন রাজ্য যুব মোর্চার সভাপতি তথা বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এবং বিশ্বভারতীর প্রাক্তন অধ্যাপক তথা বোলপুরের প্রাক্তন সাংসদ অনুপম হাজরা-সহ প্রতিনিধি দল। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের সঙ্গে দেখা করে যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ বলেন, ‘রবি ঠাকুরকে নিয়ে লড়াই করতে চাই না। বিশ্বভারতীর জমি দখল করতে তৃণমূল বিধায়কের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে যে নৈরাজ্য চলছে বিশ্বভারতীর ঘটনা তা সব কিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে।’
বিশ্বভারতী কাণ্ডে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া না হলে গণেশ চতুর্থীর পর বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সৌমিত্র খাঁ। এমনকী প্রতিদিন সন্ধেয় রবীন্দ্রনাথের ছবির সামনে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের কথাও জানিছেন তিনি। সৌমিত্র খাঁ বলেন, “মোমবাতি জ্বালিয়ে বলব, ঠাকুর তোমার সেই সোনার বাংলা ফিরিয়ে দাও। এই বাংলায় অবনতি শুরু হয়েছে। আমরা তার বিরুদ্ধে রাস্তায় নামব।”
উল্লেখ্য বিশ্বভারতীতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে গত ১৭ অগস্ট। ওইদিন শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লি লাগোয়া পৌষ মেলার মাঠে পাঁচিল তোলাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বিশ্বভারতী। ব্যাপক ভাঙচুর চলে গোটা এলাকায়। ভেঙে দেওয়া হয় বিশ্বভারতীর একটি গেটও। উত্তেজনা পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্বভারতী বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তও নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ‘মেলার মাঠ বাঁচাও, শান্তিনিকেতন বাঁচাও’ নামে প্রতিবাদের ঝড়ও ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নামে এফআইআর দায়ের হয়। পাশাপাশি স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির বিরুদ্ধেও পাল্টা এফআইআর করে বিশ্বভারতী। ভাঙচুরের ঘটনা চলাকালীন সেখানে উপস্থিত হন দুবরাজপুরের তৃণমূল বিধায়ক নরেশ বাউড়ি। সৌমিত্র খাঁর অভিযোগ, ভাঙচুরে জড়িত তৃণমূল বিধায়কও।
Comments are closed.