উৎসব মরসুম কাটতেই বিধানসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে ঝাঁপাচ্ছে বিজেপি
বীরেন ভট্টাচার্য, নয়াদিল্লি
কৃষি বিলের বিরুদ্ধে সংসদের ভিতরে-বাইরে আন্দোলনের কৌশল নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যসভা থেকে বিরোধী দলের ৮ জন সংসদকে সাসপেন্ড করার প্রতিবাদ জানিয়ে কক্ষত্যাগ করে বিরোধী বেঞ্চ। লোকসভাতেও একই চিত্র। একত্রে কক্ষত্যাগ করে বিরোধীরা। এদিকে, তৃণমূলের এই কৌশলকে ভোঁতা করতে পালটা আক্রমণের রাস্তায় হাঁটবে বিজেপি। কৃষি বিলের সুফল নিয়ে রাজ্যের সর্বস্তরে প্রচারাভিযান চালাবে গেরুয়া শিবির। কৃষি বিল নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝানোর অভিযোগ তোলার পাশাপাশি এর সুফলগুলি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের গেরুয়া ব্রিগেডের অধিনায়ক দিলীপ ঘোষ। একই সঙ্গে আমফান থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে কাটমানি এবং তোলাবাজির অভিযোগ তুলে সরব হওয়ার পথে হাঁটবে বিজেপি।
দলের মূল সংঘটনের পাশাপাশি পথে নেমে প্রতিবাদ করতে চলছে যুব মোর্চাও। ৫ অক্টোবর রাজ্যজুড়ে বিডিও অফিস ঘেরাও কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কর্মসংস্থান তৈরিতে ব্যর্থতা, করোনা মোকাবিলা নিয়ে গাফিলতি-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হবে দলের যুব সংঘটন। এরপরেই ৮ অক্টোবর নবান্ন অভিযান কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। সেখানেও দুর্নীতি-সহ একাধিক অভিযোগে ঘাসফুলে কাঁটা ফোটানোর চেষ্টা করবে গেরুয়া ব্রিগেড।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করলেও দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব পদ্মফুলে কাঁটা ফুটিয়েছে। সূত্রের খবর, সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা দলের সবাইকে একসঙ্গে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন দলের সর্ব ভারতীয় সভাপতি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে একেবারে অলআউট লড়াইয়ের ডাক দিয়েছেন জেপি নাড্ডা।
দুর্গাপুজো মিটে গেলে এবং করোনা পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেই আগামী নভেম্বর মাসে রাজ্যে আসবেন কেন্দ্রীয় নেতারা। সেখানেও রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-সহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে আক্রমণ শানানো হবে। একই সঙ্গে চলবে ভার্চুয়াল সভাও। দুর্নীতি এবং কৃষি বিল মূল বিষয় থাকলেও রাজ্যে জঙ্গি সংঘটনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি ধরা পড়ার বিষয়টিও তালিকায় রেখেছে বিজেপি নেতৃত্ব। ফলে সব মিলিয়ে রাজ্যে উৎসবের মরসুম কাটতেই বিধানসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে ঝাঁপাবে বিজেপি।
Comments are closed.