শিল্পশহর হলদিয়ায় বিশ্বকর্মা পুজোর বাজেটে কাটছাঁট, মৃৎশিল্পীদের মাথায় হাত
নিজস্ব সংবাদদাতা : করোনার কারণে এবার আর আড়ম্বর নয়, কম বাজেটে বিশ্বকর্মা পুজোর আয়োজন শিল্পশহর হলদিয়ায়। তাই মন ভালো নেই মৎশিল্পীদের। বাজেট কাটছাঁট করার ফলে বরাদ্দ কমেছে প্রতিমাতে। ফলে শিল্পীদের ব্যবসায় মন্দার আশঙ্কা। শিল্পশহরের দুর্গা পুজােকেও ছাড়িয়ে যায় বিশ্বকর্মা পুজাে। ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৩০০ পুজো হয়। তার মধ্যে ৭০-৮০টা বিগ বাজেটের পুজো। সাবেকি থেকে থিম কোনও কিছুই বাদ যায় না শিল্প তালুকের এই প্রাণের উৎসবে। কিন্তু এবার করোনার গ্ৰাসে, এই অতিমারীর ধাক্কায় কম বাজেটে নমো নমো করে পুজো সারতে চাইছেন সকলেই।
বাজেট কমার সাথে সাথে কমেছে মণ্ডপ ও প্রতিমার বাজেট। ফলে বাজার ভালো নেই মৃশিল্পীদের। তাদের কথায় অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর পুজোর বাজেট অনেকটাই কম। সবাই কম টাকার মধ্যে ঠাকুর নিতে চাইছেন। কিন্তু মালপত্রের দাম বেড়েছে, তাই কম টাকার ঠাকুর বিক্রি করে তেমন লাভের মুখ দেখবেন বলে মনে হচ্ছে না।
হলদিয়ার ইছাপুরের মৃৎশিল্পী সুভাষ জানা, কালীপদ জানা প্রমুখদের কথায়, প্রত্যেক বছর শিল্পশহরে যে টাকার ঠাকুর যায়, এবার তার অর্ধেক দামও হচ্ছে না। ফলে বাড়িতে কারিগর রেখে কাজ করিয়ে লাভের মুখ দেখছেন না। চৈতন্যপুরের মিলন চিত্রকর জানান, “করোনার জেরে প্রায় তিন মাস ধরে রুজি রোজকার বন্ধ। ফলে টান পড়েছে সংসারে।” অন্যদিকে স্বপন চিত্রকর বলেন, “প্রত্যেক বছর ২০-৩০ টা বড় ও ৫০-৮০ টা ছোট বিশ্বকর্মা তৈরি করি। কিন্তু এবারে ছোট-বড় মিলিয়ে ৮-১০টাও হচ্ছে না। ফলে চরম সঙ্কটের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছি। আগামী দিনে কী করব তা ভেবে পাচ্ছি না।”
এরপর আবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা মাথায় রেখে অভাবের মধ্যেও ধীরে ধীরে কাজ করে চলছেন শহরের মৎশিল্পীরা। প্রার্থনা একটাই খুব দ্রুত এই অতিমারী থেকে সবাই রক্ষা পাক।
Comments are closed.