মেদিনীপুরের বিস্ময় অদ্রীশ পালকে স্বীকৃতি ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের

নিজস্ব সংবাদদাতা : তিন বছর ১১ মাস বয়সেই ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে স্বীকৃতিলাভ করে সবাইকে চমকে দিল মেদিনীপুরের বিস্ময় শিশু অদ্রীশ পাল। করোনা পরিস্থিতির মাঝেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাকে গর্বিত করল কুইকোটার খুদে প্রতিভা অদ্রীশ।
ক্ষীরপাই-এর সেন্ট জনস স্কুলের লোয়ার নার্সারির ছাত্র অদ্রীশ। বাবা তাপসকুমার পাল ও মা অনিন্দিতা মণ্ডল পাল উভয়েরই উচ্চ-মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার কাজে যুক্ত। মা অনিন্দিতার প্রশিক্ষণে এই বয়েসেই অদ্রীশ পঁচিশটি কবিতা ও ছড়া সুন্দর বাচনভঙ্গির সাথে মুখস্থ বলতে পারে। এছাড়াও ইংরেজিতে সপ্তাহের সাতটি বারের নাম, বারো মাসের নাম গড়গড় করে বলতে পারে সে। এছাড়াও এগারো ধরনের আকৃতির নাম, চৌদ্দো ধরনের রঙের নাম, মানবদেহের ষোলোটি অঙ্গের নাম, বারো ধরনের ফল, এগারো ধরনের সবজির নাম বলতে ও চিনতে পারে অদ্রীশ।
শুধু এখানেই থেমে থাকছে না অদ্রীশ। কম্পিউটার কি-বোর্ডে ইংরেজি বর্ণমালার সব অক্ষর এবং ইংরেজিতে এক থেকে চল্লিশ পর্যন্ত সংখ্যা টাইপ করতে পারে অদ্রীশ। তার এই সমস্ত গুণাবলী দেখে তাকে মাত্র তিন বছর এগারো মাস বয়সেই স্বীকৃতি দিয়েছে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস। আর এই আনন্দের খবরটা অদ্রীশ জেনেছে তার চার বছর পূর্ণ হবার দিনে অর্থাৎ জন্মদিনে। সেদিনই সে হাতে পেয়েছে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের শংসাপত্র, মেডেল, ব্যাজ, আইডেন্টিটি কার্ড, কলম ও স্টিকার। অদ্রীশের এই সাফল্যের স্বীকৃতিতে খুশি তার বাবা-মা সহ পরিবারের অন্যান্যরা এবং পাড়াপ্রতিবেশীরা। উল্লেখ্য অদ্রীশের এই স্বীকৃতি ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের ২০২২ সালের সংস্করণে প্রকাশিত হবে।
Comments are closed.