বসিরহাটে গ্রেফতার গুজরাত বিস্ফোরণের অন্যতম অভিযুক্ত আব্দুল রজ্জাক
নিজস্ব সংবাদদাতা : গুজরাতের কালুপুর রেলস্টেশন বিস্ফোরণে অন্যতম অভিযুক্ত আব্দুল রজ্জাক গাজিকে উত্তর ২৪পরগনার বসিরহাট থেকে গ্রেফতার করল গুজরাত অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড (জিএটিএস)। চোদ্দো বছর পরে বসিরহাটের বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া একটি গ্রাম থেকে গ্রেফতার করল রজ্জাককে। লস্কর জঙ্গিদের বাড়িতে জায়গা দেওয়া, সিমি সদস্যদের সাহায্য, আইএসআই ও লস্করের নির্দেশে কাজ করা, ২০০৬ সালে গুজরাত বিস্ফোরণের জঙ্গিদের সাহায্য করা এবং ২০০৮ সালে বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণের জঙ্গিদের পালাতে সাহায্য করার অভিযোগ আব্দুল রজ্জাক গাজির বিরুদ্ধে।
দীর্ঘদিন গা ঢাকা দেওয়ার পর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গুজরাত অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড হানা দেয় পশ্চিমবঙ্গে। উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত লাগোয়া বসিরহাট থেকে গ্রেফতার করা হয় রজ্জাক গাজিকে। এটিএসের অফিসাররা এদিন জানান, কালুপুর রেলস্টেশন বিস্ফোরণের পর লস্করের মূল দুই অভিযুক্ত জুলফিকার কাগজি ও আবু জুন্দলকে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪পরগনায় বসিরহাটের বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছিল আব্দুল রজ্জাক গাজি। সীমান্ত পেরিয়ে দু’জনকে বাংলাদেশে পালাতেও সে সাহায্য করেছিল। পরে ওই দু’জন বাংলাদেশ হয়ে পাকিস্তানে পালিয়ে যায়।
২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আহমেদাবাদের কালুপুর রেলস্টেশনের ২ ও ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝে বোমা রেখেছিল লস্কর-ই-তৈবার দুই সদস্য জুলফিকার কাগজি ও আবু জুন্দল। ব্যস্ত সময়ে বিস্ফোরণ ঘটানো হলে বহু যাত্রী জখম হয়। বিস্ফোরণের পর লস্করের মূল এই দুই অভিযুক্ত জুলফিকার ও জুন্দলকে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনায় বসিরহাটের বাড়িতে আশ্রয় দেয় আব্দুল রজ্জাক গাজি। এটিএসের ধারণা, ধৃতকে জেরা করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে গুজরাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
Comments are closed.