বাবরি মসজিদ মামলায় সব অভিযুক্তদের মুক্তি দিল আদালত

বীরেন ভট্টাচার্য, নয়াদিল্লি
বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় বড়ো স্বস্তি পেলেন লালকৃষ্ণ আদবানি, মুরলী মনোহর যোশী , উমা ভারতী-সহ বিজেপি ও রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের সদস্যরা। বাবরি মসজিদ ধ্বংস কাণ্ডে সমস্ত অভিযুক্তকে মুক্তি দিল বিশেষ সিবিআই আদালত।
বুধবারের রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে নতুন করে তৈরি হয়েছিল উত্তেজনা। কী হবে অভিযুক্তের তালিকায় নাম থাকা নেতাদের। অভিযুক্তের অনেকেই ইতিমধ্যেই মৃত, বাকিদের মধ্যে কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত, আবার বয়সজনিত কারণে অসুস্থ। ফলে আদালতের নির্দেশ থাকলেও সশরীরে হাজির থাকতে পারেননি এলকে আদবানি, মুরলী মনোহর যোশীর মতো নেতারা। ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানিতে যোগদান করেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথা মার্গদর্শক মণ্ডলীর সদস্য লালকৃষ্ণ আদবানি। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কারণে আদালতে হাজিরা দিতে পারেননি উমা ভারতী। তবে এদিন এজলাসে উপস্থিত ছিলেন ২৬ জন অভিযুক্ত।
এদিন আদালতের সঙ্গে সংযুক্ত রাস্তায় যানবাহন চলাচলে কড়াকড়ি করা হয়। এছাড়া লখনউতে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়গুলিতে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়। রাজধানী দিল্লিতেও কড়া নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়। অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবী এদিন আগে থেকেই জামিন বন্ড তৈরি রেখেছিলেন।
রায়ে লখনও বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক এসকে যাদব বলেন, “বাবরি মসজিদ ধ্বংস পূর্ব পরিকল্পনায় হয় নি। যেহেতু তার পাশেই রামলালার মূর্তি ছিল, সেই জন্য মসজিদ রক্ষা করতে ছেয়েছিলেন অশোক সিংহল-সহ সংঘ পরিবারের অন্যান্য নেতারা।”
আদালতের তরফে আরও জানানো হয়, ভিডিয়ো অতিরঞ্জিত করা হয়েছে। তার নেগেটিভ দেখতে পারেনি তদন্তকারী দল। এছাড়াও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ দাখিল করা যায়নি। আদালত আরও জানায়, স্থানীয় তরফে, গোয়েন্দা রিপোর্টে জানানো হয়, ৬ ডিসেম্বর অপ্রত্যাশিত ঘটনা হতে পারে, যদিও তাতে কোনও নজর দেওয়া হয়নি। এরপরেই অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস ঘোষণা করেন বিচারক যাদব। এদিকে এদিনই লালকৃষ্ণ আদবানি র বাড়িতে ছুটে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। সেখানে দুই বর্ষীয়ান নেতা কথা বলেন।
Comments are closed.