ভোট ঘোষণার আগেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী, শুরু রুট মার্চ
নিজস্ব সংবাদদাতা: বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার আগেই শনিবার বাংলায় এল ১১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। কমিশন সূত্রের খবর, ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পর্যায়ক্রমে রাজ্যে আসতে চলেছে ১২৫ কোম্পানি বাহিনী। নজিরবিহীন ভাবে ভোট ঘোষণার আগেই কেন কেন্দ্রীয় বাহিনী, নির্বাচন কমিশনের তরফে এ নিয়ে কোনও ব্যাখা মেলেনি এখনও।
এদিকেে স্পর্শকাতর ভাটপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে স্বাগত জানাল তৃণমূল। ২০১৯ সালের বারাকপুর লোকসভা ও ভাটপাড়া বিধানসভা উপ নির্বাচনে সব থেকে বেশি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ভাটপাড়া। শনিবার কলকাতা স্টেশনে যে চার কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নামে তাদের মধ্যে এক কোম্পানি পাঠানো হয় বারাকপুর কমিশনারেট এলাকায়। একুশের নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ হয় সেজন্য ভাটপাড়া এলাকায় আগে ভাগেই কেন্দ্রীয় বাহিনী আসাকে স্বাগত জানিয়েছেন ভাটপাড়ার তৃণমূল নেতা গোপাল রাউত।
এদিকে রবিবার পূর্ব বর্ধমান শহরেও রুটমার্চ করল কেন্দ্রীয় বাহিনী । বর্ধমানে এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী হাজির হয় শনিবার। রবিবার সকাল থেকেই শহরে রুট মার্চ করল জওয়ানরা। বর্ধমান ও কালনা শহর দিয়ে শুরু হয়েছে নজরদারি। পরবর্তী সময়ে জেলার বিভিন্ন অংশে রুট মার্চ চলবে বলে জানিয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়। রবিবার বর্ধমানের কার্জন গেট থেকে বিরহাটা পর্যন্ত রুট মার্চ করে কেন্দ্রীয়বাহিনীর জওয়ানরা। রুটমার্চে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক এনাউর রহমান, পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখার্জি,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিনহা রায়, ডিএসপি হেডকোয়ার্টার সৌভিক পাত্র, আইসি পিণ্টু সাহা-সহ অনান্য পুলিশ আধিকারিকরা।
রবিবার হাওড়ায় রুট মার্চ করল কেন্দ্রীয় বাহিনী। শনিবার বিকেলে হাওড়ায় এসে পৌঁছায় এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। রবিবার সকালে ব্যাঁটরা থানায় নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। পরে এলাকার বিভিন্ন রাস্তায় টহল দেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। অন্যদিকে নৈহাটি বিধানসভার অন্তর্গত গরিফা অঞ্চলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চ করে আজ সকালে। পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর বিধানসভার বিভিন্ন এলাকায় টহল দিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। সঙ্গে ছিলেন কেশপুর থানার ওসি।
Comments are closed.