ক্রিকেটার থেকে তালিবান নেতা আফগান ক্রিকেটার আব্দুল্লাহ মাজারি
সাম্যজিৎ ঘোষ
এক সময় সঙ্গী ছিল ব্যাট-বল। কালের পরিক্রমায় এখন সঙ্গী হয়েছেন তালিবানের। তিনি আফগান ক্রিকেটার আব্দুল্লাহ মাজারি। আফগানিস্তান তালিবানদের দখলে যাওয়ার পরই আলোচনায় চলে এসেছেন প্রাক্তন বাঁ–হাতি স্পিনার মাজারি। বছরখানেক আগেও ছিলেন পেশাদার ক্রিকেটার।
তবে তিনি আফগানিস্তানের খবরের শিরোনামে থেকেছেন প্রায়শই। কখনও ক্রিকেট, কখনও বা তাঁর তালিবানে যোগ দেওয়ার খবর নিয়ে গুঞ্জন। তালিবানের মতো ধর্মীয় মনোভাবাপন্ন গোষ্ঠী ফের ক্ষমতায় আসতে পারে তেমন ইঙ্গিত গণমাধ্যমেও দিয়েছিলেন। গত মাসে তালিবান ক্ষমতায় আসার পর আফগান ক্রিকেট বোর্ডের ভবিষ্যৎ কী হবে তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। কিন্তু আফগান ক্রিকেট বোর্ড তালিবানের নেতারা দখল নেওয়ার পর মাজারিকেও দেখা গিয়েছিল ছবিতে। ক্রিকেট বোর্ডে ক্ষমতা তালিবান হাতে নেওয়ার ছবি দেখেছে গোটা বিশ্ব। বন্দুকধারী তালিবান যোদ্ধারাও উপস্থিত ছিলেন সেখানে। যদিও ক্রিকেট পরিচালনায় নাক গলাবেনা সে আশ্বাসও দেয় তালিবান।
আটের দশকে আফগানিস্তানের মাজার–ই–শরিফে জন্ম নিয়েছিলেন আব্দুল্লাহ। ক্রিকেট কেরিয়ার শুরু চলতি শতাব্দীর গোড়ার দিকে। শিয়ালকোটের হয়ে ২০০৯ সালে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয় এই বাঁ-হাতি স্পিনারের। সে বছরই ফিরে আসেন আফগানিস্তানে। ২০১০–এ আবদুল্লাহ-র অভিষেক হয় আফগানিস্তানের জাতীয় দলে। কেনিয়া সফরের পর আর জাতীয় দলের খেলার সুযোগ হয়নি। খেলেছেন দুটি মাত্র একদিনের ম্যাচ। নিয়েছেন দুই উইকেট। তবে ঘরোয়া ক্রিকেট কেরিয়ারে বেশ ভাল পরিসংখ্যান রয়েছে মাজারির।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২১ ম্যাচে ৬৪ উইকেট, লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ১৯ ম্যাচে ২৬ উইকেট এবং ১৩টি টোয়েন্টি ম্যাচে ১৩ উইকেট আছে তাঁর ঝুলিতে। তবে ২০১৮ সালে আফগানিস্তানের ঘরোয়া টি–টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে এক ওভারে ৬টি ছক্কা–সহ দেন ৩৭ রান। ঘরোয়া টি-২০ বা শ্পাগিজা ক্রিকেট লিগে খেলেছেন ২০২০ মরসুম পর্যন্ত। তবে এরপর পাকিস্তানে ফিরে যান মাজারি। ইসলামাবাদে শুরু করেন জমির ব্যবসা। একসময় জড়িয়ে পড়েন তালিবান রাজনীতিতে। ক্রিকেটের পর মাজারির দ্বিতীয় ইনিংস কেমন যায় এখন সেটাই দেখার।
Comments are closed.