বিশ্বভারতীতে হাইকোর্টের নির্দেশে ঘেরাও-মুক্ত উপাচার্য
নিজস্ব সংবাদদাতা : বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে ঘেরাও মুক্ত করতে হবে অবিলম্বে। নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ঘেরাও প্রসঙ্গে বিচারপতি এদিন বলেন, ‘আন্দোলন করতে পারেন, কিন্তু কাউকে ঘেরাও করে নয়। নিজের হাতে আইন তুলে নেবেন না? এটা ট্রেড ইউনিয়ন নয়। ছাত্র ইউনিয়ন। এটা ভুলে যাবেন না।’ পাশাপাশি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫০ মিটারের মধ্যে কোনওরকম বিক্ষোভ করা যাবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে আদালত। বিশ্বভারতীর ভিতরে উচ্চস্বরে স্লোগান দেওয়া যাবে না। শান্তিপূর্ণ ভাবে ৫০ মিটারের বাইরে আন্দোলন করতে পারবেন ছাত্রছাত্রীরা। পুলিশকে ক্যাম্পাসের সমস্ত সিসিটিভি চালু করার পাশাপাশি বহিরাগতদের প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হবে বলে জানিয়েছে বিচারক। হাইকোর্টের রায়ে আরও জানানো হয়েছে, উপাচার্যের নিরাপত্তায় ৩ জন কনস্টেবল মোতায়েন করতে হবে। এমনকী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশে বাধা দেওয়া যাবে না বিশ্বভারতীর কোনও কর্মীকেও বলে জানায় আদালত।
এদিন শান্তিনিকেতন থানাকে উপাচার্যের বাড়ি এবং অফিসের সামনে থেকে পোস্টার সরানোর নির্দেশ বিচারপতি। সেই নির্দেশ মতো আজ দুপুর ৩টে থেকে প্রশাসনিক ভবন, উপাচার্যের বাসস্থান-সহ অন্যান্য এলাকা পোস্টারমুক্ত করেন শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘তিন জন ছাত্রকে বহিষ্কার করাকে কেন্দ্র করে উপাচার্যের বাড়ির গেট অবরুদ্ধ করে ফেলা হয়। ছাত্রছাত্রীরা এবং কিছু বহিরাগত এসে বিভিন্ন মন্তব্য করতে থাকে। আজ দু’ পক্ষের বক্তব্য শোনার পর মহামান্য হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, এক্ষুনি বিশ্বভারতীর উপাচার্যর গেটের সামনে থেকে সমস্ত ধরনের বিক্ষোভ অবরোধ সরিয়ে ফেলতে হবে, সমস্ত পোস্টার হোর্ডিং সরিয়ে ফেলতে হবে।’
Comments are closed.