আন্দোলনরত শিক্ষিকাদের ‘BJP ক্যাডার’ বলে কটাক্ষ শিক্ষামন্ত্রীর, জামিন অযোগ্য ধারায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা পুলিশের
নিজস্ব সংবাদদাতা : বিকাশ ভবনের বাইরে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করা ‘শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চে’র শিক্ষিকাদের বিজেপি ক্যাডার বলে তোপ দাগলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। অন্যদিকে বদলির বিরুদ্ধে আন্দোলনরত ওই পাঁচ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে পুলিশ জামিন অযোগ্য ধারায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাজে বাধা, আত্মহত্যার চেষ্টা এবং সরকারি নির্দেশ অমান্য-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে বিধাননগর উত্তর থানায়। আপাতত তাঁরা সকলেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ৩ জন শিক্ষিকা আরজি কর ও ২ জন এনআরএসে ভর্তি রয়েছেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ৪০-৫০ মিলিগ্রামের মতো কীটনাশক এদের শরীরে গিয়েছে। ক্ষতি হয়েছে লিভার ও শ্বাসযন্ত্রের।
বুধবার বাম আমলের তুলনা টেনে শিক্ষামন্ত্রী দীর্ঘ ফেসবুক পোস্ট করেন। তিনি লেখেন, ‘বাম সরকারের আমলে পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন বিভাগের অধীনে SSK এবং MSK-র সহায়ক, সম্প্রসারকরা নামমাত্র সাম্মানিকের বিনিময়ে কাজ করতেন। কাজের নিশ্চয়তা, আর্থিক নিরাপত্তা এবং অবসরকালীন সুযোগ-সুবিধা কিছুই ছিল না। কিন্তু ২০২০ সালের ২০ ডিসেম্বর থেকে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকার SSK এবং MSK-গুলিকে বিদ্যালয় শিক্ষা বিভাগের অধীনে এনে একটি সুসংবদ্ধ রূপ দিয়েছে। সহায়ক, সহায়িকাদের সাম্মানিক বাড়িয়ে মাসিক ১০ হাজার ৩৪০ টাকা এবং সম্প্রসারক, সম্প্রসারিকাদের সাম্মানিক বাড়িয়ে ১৩ হাজার ৩৯০ টাকা করা হয়েছিল।’
শিক্ষামন্ত্রী আরও লেখেন, ‘এ ছাড়াও বাৎসরিক ৩% বৃদ্ধি বা ইনক্রিমেন্ট চালু করা হয়েছে। প্রত্যেককে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের অধীনে আনা হয়েছে। যাঁরা ৬০ বছর বয়সে অবসর নিতে চান, তাঁদের প্রত্যেককে তিন লাখ টাকা করে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মহিলাদের জন্য সরকারি নিয়মানুযায়ী মাতৃত্বকালীন ছুটির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়াও প্রত্যেককের জন্য চিকিৎসা সংক্রান্ত-সহ বাৎসরিক ১৮ দিন ক্যাজুয়াল লিভ বা ছুটির অধিকার দেওয়া হয়েছে।’ ফেসবুক পোস্টের সবশেষে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু লিখেছেন, ‘তারপরেও যারা আন্দোলন করছেন, তারা শিক্ষক শিক্ষিকা নন, বিজেপি ক্যাডার’।
Comments are closed.