ভুয়ো সিবিআই অফিসারের খোঁজ! হাওড়ার জগাছায় চাঞ্চল্য
অনুপ রায়
দেবাঞ্জনকাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও এক পর্দাফাঁস। এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর আধিকারিক পরিচয় দিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ হাওড়ায়। বহু যুবকদের লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। যার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে তাঁর নাম শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ, রীতিমতো নীলবাতি লাগানো গাড়ি নিয়ে ঘোরাফেরা করত শুভদীপ।
শুভদীপের বাড়ি হাওড়ার জগাছায়। তাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই যাবতীয় নথি-সহ অভিযোগ জমা পড়েছে জগাছা থানায়। জানা গেছে, ২০১৯-এ প্রেম করে রেজিস্ট্রি বিয়ে হয় শুভদীপের। এরপর ২০২০ সালে সামাজিক বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের কয়েক দিনের মধ্যেই স্ত্রী জানতে পারেন তার স্বামী আদতে কোনও সিবিআই আধিকারিক নয়। এ নিয়ে রীতিমতো স্ত্রীর সঙ্গে বচসা লেগেই থাকত। তিক্ততা এতটাই বেড়ে যায় যে শুভদীপের মিউচুয়াল ডিভোর্স হয় ২১ মার্চ।
এরপর হাওড়ার জগাছা থানায় মে মাসে শুভদীপের কীর্তিকলাপ জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন স্ত্রী। তার অভিযোগ, নীল বাতির গাড়ি নিয়ে মাঝেমধ্যে বাড়ির সামনে আসতেন শুভদীপ। বিদেশে ঘুরতেন। সিবিআই-এর অ্যাসিট্যান্ট ডিরেক্টর বলে যিনি পরিচয় দেন তিনি এত ছুটি কী করে পান। স্ত্রীর দাবি, উনি নিজেকে কখনও স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চের ভিরেক্টর, কখনও রেলের আধিকারিক, কখনও লালবাজারে পোস্টিং বলে পরিচয় দিতেন। এত বড় পদে আছেন যিনি তিনি সারাক্ষণ বাড়িতে কেন থাকেন! সন্দেহ হয় স্ত্রীর। এরপর গত মে মাসে হাওড়ার জগাছা থানায় অভিযোগ করেন স্ত্রী।
জগাছার ধাড়সায় শুভদীপের বাড়িতে ছেলের কুকীর্তি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তার মা জানান, ছেলের ফাঁসি হোক। মাঝেমধ্যে নীল বাতি লাগানো গাড়ি নিয়ে আসত বাড়িতে। নিজেকে সিবিআই-এর আধিকারিক বলে পরিচয় দিয়েছিলেন বাড়িতে বলেও জানান তিনি। শুভদীপের স্ত্রী অর্থাৎ বউমা ছেলের কুকীর্তি জানানোর পরে বহুবার ছেলেকে অসাধু কাজ থেকে বিরত থাকতে বলেছিলেন তিনি। কিন্তু শুভদীপ সে কথায় কর্ণপাত করেনি। শুভদীপ তার মাকে বলেছে, এই মুহূর্তে সে দিল্লিতে পালিয়ে রয়েছে। তাকে এ কাজে সাহায্য করত লালন নামে বিহারের এক বাসিন্দা।
Comments are closed.