৯৮ বছরে প্রয়াত প্রবীণ অভিনেতা দিলীপকুমার, শোকের ছায়া বলিউডে
নিজস্ব সংবাদাদাতা : প্রয়াত প্রবীণ অভিনেতা দিলীপকুমার। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর। দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন দিলীপ কুমার। শ্বাসকষ্ট নিয়ে ৩০ জুন ভর্তি হন হাসপাতালে। বুধবার মুম্বইয়ের হিন্দুজা হাসপাতালে সকাল সাড়ে ৭টায় তাঁর মৃত্যু হয়।
ব্রিটিশ শাসিত ভারতের পেশওয়ারের (বর্তমান পাকিস্তান) খাওয়ানি বাজার অঞ্চলে আয়েশা বেগম এবং লালা গুলাম সারওয়ার খানের সংসারে জন্ম মহম্মদ ইউসুফ খানের। বাবা ছিলেন ফল ব্যবসায়ী। ১৯৩০ সালে পরিবার নিয়ে তৎকালীন বম্বে-তে চলে আসেন লালা গুলাম সারওয়ার আলি খান। পরে নাসিকের বারনেস স্কুলে পড়াশোনা ইউসুফ খানের।
View this post on Instagram
পরবর্তীতে চাকরির সুবাদে হাজির হন বম্বে টকিজের দোরগোড়ায়। পাঠান যুবক ইউসুফকে দেখে বেশ পছন্দ হয় দেবিকা রানির। বম্বে টকিজে চাকরি জুটে যায় মাসিক ১২৫০ টাকার। পাঁচ দশকেরও বেশি দীর্ঘ কেরিয়ারে ৬৫টিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। তাঁর উল্লেখযোগ্য ছবিগুলির মধ্যে অন্যতম ‘আন্দাজ’, ‘মুঘল-এ-আজম’, ‘গঙ্গা যমুনা’, ‘দেবদাস’। ১৯৪৪ সালে মুক্তি পায় দিলীপ কুমারের প্রথম ছবি ‘জোয়ার-ভাটা’। বক্স অফিসে তেমন ব্যবসা করতে পারেনি ছবিটি। সাফল্য দিলীপের ঝুলিতে আসে ১৯৪৭ সালে মুক্তি পাওয়া ‘জুগনু’ ছবিতে।
এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পাওয়ার রেকর্ড তাঁরই রয়েছে। মোট ৮ বার ফিল্মফেয়ারের তরফে তাঁকে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার দেওয়া হয়। তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অবশ্যই দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার (১৯৯৪), পদ্মভূষণ (১৯৯১), পদ্মবিভূষণ (২০১৫) এবং নিশান-ই-ইমতিয়াজ (১৯৯৮)।
দিলীপকুমারের মৃত্যুতে শোকের ছায়া বলিউডে। শোকজ্ঞাপন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের। টুইটারে শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লিখেছেন, ‘দিলীপ কুমারজি অসামান্য প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। তাঁর কাজ বহু প্রজন্মকে বিমোহিত করেছে। তাঁকে একজন সিনেম্যাটিক কিংবদন্তী হিসেবে স্মরণে রাখবে দেশ। তাঁর চলে যাওয়ায় আমাদের সাংস্কৃতিক জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল। ওঁর পরিবার, পরিজন এবং ভক্তদের প্রতি আমার সমবেদনা।’
টুইটারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘সিনেমা জগতেকর বৈগ্রাহিক ব্যক্তিত্ব দিলীপ কুমারের মৃত্যুতে শোকাহত। তাঁর অভিনয় ভবিষ্যৎ প্রজন্মর সিনেমা প্রেমীদেরও মনে গেঁথে থাকবে। আমার আন্তরিক সমবেদনা সায়রা বানুকে।’
Comments are closed.