আক্রান্তদের চিকিৎসা-রেশনের নির্দেশ, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় রাজ্যকে ভর্ৎসনা কলকাতা হাইকোর্টের
নিজস্ব সংবাদদাতা : ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় রাজ্য সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করল কলকাতা হাইকোর্টের ৫ সদস্যর বৃহত্তর বেঞ্চ। একই সঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসায় যাঁরা আহত হয়েছেন তাঁদের বয়ান ফৌজদারি বিধির ১৬৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী গোপন জবানবন্দি নিতে হবে এবং পুলিশকে আলাদা আলাদা মামলা রুজু করতে হবে। পাশাপাশি আক্রান্তদের চিকিৎসার ভার রাজ্য সরকারকে নিতে হবে বলে কড়া নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অভিযোগকারীরা হাইকোর্টে জানায়, আক্রান্ত বিরোধীদের রেশন কার্ড নিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেই প্রসঙ্গে বৃহত্তর বেঞ্চ কড়া নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছে, যাঁদের রেশন কার্ড কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁদের রেশন মেলার ক্ষেত্রেও রাজ্য প্রশাসনকে নজর দিতে হবে।
ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ২৪ জনের প্রতিনিধি দল রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আক্রান্ত মানুষদের সঙ্গে কথা বলে। দুই দিন আগেই খামবন্দি সেই রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা দেয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সেই অন্তর্বর্তী রিপোর্টের প্রেক্ষিতে এদিন শুনানি হয় উচ্চ আদালতে।
রাজ্যে বিধানসভার ভোটের ফল প্রকাশের পর একাধিক হিংসার ঘটনা ঘটেছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি এই অভিযোগ তুলে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়। বিরোধীদের করা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে কলকাতা হাইকোর্ট জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (NHRC) চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একটি কমিটি তৈরি করে। সেই কমিটি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে আক্রান্ত মানুষজনদের সঙ্গে কথা বলে দুই দিন আগে খামবন্দি করে রিপোর্ট পেশ করে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই কলকাতা হাইকোর্ট আজ রাজ্য সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করল। একইসঙ্গে আগামী ১৩ জুলাই পর্যন্ত জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নেতৃত্বে তৈরি হওয়া কমিটির মেয়াদ বাড়াল হাইকোর্ট।
Comments are closed.