লকডাউনে নিম্নমুখী দূষণ, কুলিকে বাড়ছে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা

নিজস্ব সংবাদদাতা : করোনা সংক্রমণ রোধে রাজ্যে কড়া বিধিনিষেধের জেরে কমেছে পরিবেশ দূষণ৷ এরফলে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের কুলিক পক্ষীনিবাসে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা বাড়ছে৷ রায়গঞ্জ অতিরিক্ত বিভাগীয় বন আধিকারিক সিতাংতু গুপ্ত জানিয়েছেন, ‘কুলিক পক্ষীনিবাসে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা এবছর এক লাখ ছাড়িয়ে যাবে। সরকার থেকে পরিযায়ী পাখিদের এই কুলিক পক্ষীনিবাসে থাকার উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরি করার ফলেই দিন দিন পাখির সংখ্যা বাড়ছে।’
এশিয়ার বৃহত্তম পক্ষীনিবাস হিসাবে পরিচিত উত্তর দিনাজপুর জেলা সদর রায়গঞ্জ শহর সংলগ্ন কুলিক পক্ষীনিবাস। রায়গঞ্জের কুলিক নদীর ধারে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে ৬০০ একর বনাঞ্চল এলাকা নিয়ে গঠিত এই পক্ষীনিবাসে প্রতি বছর মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে জুন মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত পাখিদের ভিড় থাকে চোখে পড়ার মতো৷ বিভিন্ন শীতপ্রধান দেশ থেকে হাজার হাজার মাইল পেরিয়ে উড়ে আসে পরিযায়ী পাখিরা। ওপেন বিল স্টক, ইগ্রেট, করমোরেন্ট, নাইট হেরন– মূলত এই চার প্রজাতির পরিযায়ী পাখিরা এই কুলিক পক্ষীনিবাসে এসে সঙ্গী নির্বাচন করে বাসা বাঁধে। শাবকের জন্ম দেয়। শাবকদের উড়তে শেখানো, তাদের বড় করে তোলা পর্যন্ত থাকে তারা৷
২০২০ থেকে লকডাউনের কারণে অনেকটাই কমেছে পরিবেশ দূষণের মাত্রা৷ এছাড়াও রাজ্য বন দফতরের সহায়তায় পক্ষীনিবাসে উন্নত পরিকাঠামো গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে৷ এই কারণে বাড়ছে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা৷ রায়গঞ্জের অতিরিক্ত বিভাগীয় বন আধিকারিক জানিয়েছেন, গতবছর এই পক্ষীনিবাসে পাখির সংখ্যা ছিল ৯৮ হাজার ৬০০৷ এবছর পাখির সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে আশাবাদী তিনি। তবে গতবছর থেকে পর্যটকদের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে কুলিক পক্ষীনিবাস। পর্যটক না আসার কারণে রায়গঞ্জ বন বিভাগের আয় কমে গিয়েছে বলে জানান সিতাংতু গুপ্ত৷
Comments are closed.