বাম ছাত্র সংগঠনের ডাকা নবান্ন অভিযানে ধুন্ধুমার ধর্মতলা চত্বর! শুক্রবার রাজ্যজুড়ে ১২ ঘণ্টা বনধের ডাক
নিজস্ব সংবাদদাতা: দশটি বাম ছাত্র সংগঠনের ডাকা নবান্ন অভিযান ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল ধর্মতলা চত্বর। ডোরিনা ক্রসিং ও এস এন ব্যানার্জি রোডে মিছিলের উপর পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগে শুক্রবার রাজ্যজুড়ে ১২ ঘণ্টা বনধ ডাকল বামেরা। অভিযানে পুলিশি হামলার অভিযোগ তুলে বামপন্থী সংগঠনগুলির ডাকা বনধে সমর্থন জানিয়েছে জোটসঙ্গী কংগ্রেসও।
Police unleashed Water cannons, tear gas and brutal lathi-charge on the protestant student & youths during #NabannaAvijan. Many of them were injured and had to be hospitalized. Shame on TMC Govt. A road blockade is being organised at Moulalil in protest of this barbaric attack pic.twitter.com/z0sOHj0dmd
— CPI(M) WEST BENGAL (@CPIM_WESTBENGAL) February 11, 2021
এদিন আন্দোলনকারীরা রাজ্যে শিল্প স্থাপন, কর্মসংস্থান, শিক্ষা-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে ধর্মতলায় জমায়েত করে। হাওড়া ও শিয়ালদা স্টেশন থেকে আজ দুটি মিছিল আসে কলেজ স্ট্রিটে। দুপুর ১টায় কলেজ স্ট্রিট থেকে শুরু হয় নবান্ন অভিযান। কিন্তু মিছিল কলেজ স্ট্রিট থেকে মৌলালি হয়ে এসএন ব্যানার্জি রোড ধরে ডোরিনা ক্রসিংয়ে পৌঁছে নবান্নের দিকে এগোতেই পুলিশি ব্যারিকেডে বাধার মুখে পড়ে। আন্দোলনকারীরা ব্যারিকেড ভাঙতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করায় জলকামান, টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করে পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠি চালায় পুলিশ। অভিযোগ পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। এর পর বাম ছাত্র সংগঠনের কর্মীরা মৌলালি মোড়ে অবরোধ শুরু করলেও সেখানেও লাঠি চালায় পুলিশ। খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় একাধিক জায়গায়। ঘটনায় আহত হন অনেকে।
Full Video: Press Conference
11/02/2021সাংবাদিক সম্মেলনে @salimdotcomrade
ছাত্র-যুব সংগঠন সমূহের আহ্বানে নবান্ন অভিযানে পুলিশ প্রশাসনের বিনা প্ররোচনায় নির্মম লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস, জলকামান হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল ১২ ঘন্টার হরতালhttps://t.co/uBSVC744Ag— CPI(M) WEST BENGAL (@CPIM_WESTBENGAL) February 11, 2021
শুক্রবারের ডাকা বনধকে সমর্থন করার জন্য আরএসএস মনোভাবাপন্ন রাজনৈতিক দল বা শক্তি বাদ দিয়ে সকলকে আহ্বান জানিয়েছেন সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, ”নির্মমভাবে আমাদের তরুণ কর্মীদের মারধর করেছে পুলিশ। কেন এমনটা হবে? পুলিশ যে অত্যাচারীর ভূমিকা নিয়েছে, তা নিন্দনীয়। এর প্রতিবাদে শুক্রবার বন্ধ ডাকা হয়েছে বামপন্থী সংগঠনগুলির তরফে।” সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ”বাম ছাত্র যুবরা ন্যায্য দাবি তুলেছিল। তারা বলেছিল যাহা নবান্ন তাহাই ছাপ্পান্ন। সেটাই প্রমাণ করল পুলিশ। দিল্লিতে পেরেক পুঁতে একদিকে কৃষকদের রোখার চেষ্টা চলছে। অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ ছাত্র-যুবদের ওপর লাঠি চালাচ্ছে।”
ইতিমধ্যে বামেদের ডাকা সেই হরতাল সমর্থন করেছে কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর তরফে এ বিষয়ে বিবৃতিও প্রকাশ করা হয়েছে। তবে বনধ নিয়ে কড়া অবস্থানে কলকাতা পুলিশও। সব ধরনের প্রস্তুতিও নিয়ে ফেলেছে রাজ্য প্রশাসন। কলকাতায় জোর করে অবরোধ, দোকানপাট বন্ধ বা গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (সদর) শুভঙ্কর সিনহা রায়। শহরে সাড়ে তিন হাজার পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
Comments are closed.