খড়্গপুরে ডিওয়াইএফআই-এর উদ্যোগে দু-দিনের ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন দুর্গা স্পোর্টিং
নিজস্ব সংবাদদাতা : শনিবার বিকেলে শেষ হল দু-দিনের ক্রিকেট প্রতিযোগিতা। “সম্প্রীতির জন্য ক্রিকেট” এই আহ্বানকে সামনে রেখে বামপন্থী যুব সংগঠন ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন (ডিওয়াইএফআই) খড়্গপুর শহর দক্ষিণ লোকাল কমিটির উদ্যোগে এবং নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতি (এবিটিএ) ও এনএক্সজি ক্লাবের সহযোগিতায় খড়্গপুর শহরের তালবাগিচা মাঠে অনুষ্ঠিত হল এই ক্রিকেট প্রতিযোগিতা। শনিবার বিকেলে ১৬ দলীয় সীমিত ওভারের এই ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় ফাইনালে গোপালীর ডন ইলেভেনকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় খড়্গপুর দুর্গা স্পোর্টিং ক্রিকেট টিম। শুক্রবার প্রথম সেমিফাইনালে ওয়াইটুকে দলকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল গোপালীর ডন ইলেভেন৷ অন্যদিকে শনিবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ফ্রিডম ফাইটারকে পরাজিত করে ফাইনালে ওঠে দুর্গা স্পোর্টিং। ফেয়ার প্লে ট্রফি পায় মালঞ্চ স্পোর্টিং ক্রিকেট দল।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ডিওয়াইএফআই-এর প্রাক্তন সর্রভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তাপস সিনহা, কাউন্সিলর স্মৃতিকথা দেবনাথ, সমাজসেবী শিক্ষক অমিতাভ দাস, হরেকৃষ্ণ দেবনাথ, ডিওয়াইএফআই-এর পক্ষে জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অমৃতাভ ব্যানার্জি, লোকাল কমিটির সভাপতি দুর্মদ দেবনাথ, সম্পাদক সহদেব ঘোষ, ডি কুমার রাও, মুকুল দে, এবিটিএ’র সুশান্ত খান, রবিশঙ্কর চ্যাটার্জি, সিদ্ধার্থ সরকার, গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির খড়্গপুর দক্ষিণ লোকাল কমিটির সম্পাদিকা কস্তুরী দাস, সভানেত্রী নিভা পাল-সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
শুক্রবার সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন প্রাক্তন ক্রিকেটার, তথা সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগের কোচ সুশীল শিকারিয়া। উপস্থিত ছিলেন সমাজকর্মী শিক্ষক সুদীপ কুমার খাঁড়া, কুইজ মাস্টার শিক্ষক অরিন্দম দাস-সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।এই প্রতিযোগিতায় ফাইনালে ম্যান অব দি ম্যাচের পাশাপাশি ম্যান অব দি সিরিজ হন দুর্গা স্পোর্টিংয়ের রাহুল পান্ত্রী। বেস্ট বোলার এবং বেস্ট ফিল্ডার নির্বাচিত হন যথাক্রমে দুর্গা স্পোর্টিং দলের অবিনাশ সিং ও ছোটু। সেরা ব্যাটসম্যানের শিরোপা পান কুচলাচটির ফ্রিডম ফাইটার দলের তারিক আনোয়ার। সেরা উইকেটরক্ষকের শিরোপা পান দুর্গা স্পোর্টিংয়ের সোমা। খেলার মাঠে বাংলা, হিন্দি, ইংরেজিতে ধারাবিবরণী দেওয়ার পাশাপাশি ইউটিউব-এর মাধ্যমে খেলা সরাসরি সম্প্রচার করাও হয়।
Comments are closed.