মৌপাল দেশপ্রাণ বিদ্যাপীঠের সৌন্দর্যায়নে প্রাক্তনীরা
নিজস্ব সংবাদদাতা : বিদ্যালয়ের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও প্রাকৃতিক পরিবেশকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার কাজে প্রধানশিক্ষক-সহ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সাহায্য করতে এগিয়ে এলেন মৌপাল দেশপ্রাণ বিদ্যাপীঠের প্রাক্তনীরা। বেশ কয়েকমাস ধরে স্কুল বন্ধ অতিমারীর কারণে। করোনা সংক্রমণের ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে আসা বারণ। জরুরি কাজে বিদ্যালয়ে আসেন প্রধানশিক্ষক-সহ অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরা। এই করোনা আবহে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী ব্লকের মৌপাল দেশপ্রাণ বিদ্যাপীঠের বিদ্যালয় ক্যাম্পাসের অনেকটাই ঘাস, ঝোপঝাড়ে ভর্তি হয়ে উঠেছে। বাড়ছে সাপের উপদ্রবও। বিদ্যালয়ে শিশুবান্ধব পরিবেশ নষ্ট হতে বসেছে। আগামী জানুয়ারি মাস থেকে হয়তো নিয়মিত হতে পারে স্কুল। এমতাবস্থায় বিদ্যালয়ের প্রাক্তনীরা এগিয়ে এলেন বিদ্যালয়ের পরিচ্ছন্নতা ও পবিত্রতা রক্ষায়। শুধু বাগান পরিচর্যা নয়, সাফাই অভিযানের পাশাপাশি ফুল, ফল ও সবজি চারা রোপণেও হাত লাগালেন প্রাক্তনীরা।
প্রাক্তনীদের মধ্যে টাটা ইনস্টিটিউট অব ফান্ডামেন্টাল রিসার্চের গবেষক অলক মাহাত যেমন আছেন, তেমনি রয়েছেন ওয়ার্লপুল কোম্পানির সামগ্রী বিক্রি ও মেরামতের সঙ্গে যুক্ত অমল মাহাত, অন্যদিকে কলেজ পড়ুয়া বিমল মাহাত যেমন আছেন তেমনি আছে অনূর্ধ্ব ১৮ বছর সুব্রত কাপে খেলা খেলোয়াড়-সহ অন্যান্যরা।
বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ড. প্রসূনকুমার পড়িয়া করোনা আবহে লকডাউনের সময়ও নিয়মিত স্কুলে আসছিলেন। কিন্তু স্কুলের অগোছালো পরিবেশ ও আগাছা ইত্যাদি দেখে মন খারাপ হয়ে যায় তাঁর। প্রসূনবাবু তাঁর সহকর্মী দেবব্রত সাঁতরা, শিক্ষাকর্মী গৌরাঙ্গ চালক, পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি নীলোৎপল সাউ, ছাত্রাবাসের সহযোগী সুদীপ চক্রবর্তী ও ভরত মাহাত প্রমুখদের সহযোগিতায় সাধ্যমতো বাগান পরিচর্যা, বৃক্ষরোপণ ও ফুল ও সবজির চারাগাছ লাগানো ইত্যাদি করছিলেন। কিন্তু সেটাই যথেষ্ট ছিল না। অন্যদিকে চাষের কাজ চলায় প্রয়োজনীয় কাজের লোক পাওয়া যাচ্ছিল না দরকার মতো। তখনই প্রাক্তন ছাত্রদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। তাঁদের আগ্রহ ও বিদ্যালয়ের প্রতি ভালোবাসা বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষককে আপ্লুত করে। সবার মিলিত প্রচেষ্টায় বিদ্যালয়ে সৌন্দর্যায়নের কাজের ফলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই মৌপাল দেশপ্রাণ বিদ্যাপীঠের সৌন্দর্য অনেকাংশে ফিরে আসবে বলে বিদ্যাপীঠ কর্তৃপক্ষের বিশ্বাস ।
Comments are closed.