দেশের অগ্রগতিতে বাংলার ভূমিকা রয়েছে, বোধনের দিনে নারীশক্তির জয়গান প্রধানমন্ত্রীর
বীরেন ভট্টাচার্য, নয়াদিল্লি
বৃহস্পতিবার সকালে ভিডিয়ো কনফারেন্সে সল্টলেকের পূর্বাঞ্চলীয় সংস্কৃতি কেন্দ্রে বিজেপির দুর্গাপুজো মণ্ডপের উদ্বোধন করে বঙ্গবাসীকে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “দুর্গাপুজো এমন একটি উৎসব, যার মধ্যে দিয়ে ভারতের ঐক্য ও শক্তি প্রতিফলিত হয়। একইসঙ্গে বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যও ফুটে ওঠে।” তিনি বলেন, “আমরা কোভিডের সময়ে দুর্গোৎসব পালন করছি, ভক্তরা অসাধারণ নিয়মের পরিচয় দিয়েছেন। লোকজন কম হতে পারে, তবে ভক্তি ও বিশ্বাস অটুট রয়েছে। খুশি ও আনন্দ এখনও লাগামছাড়া। এটাই আসল বাংলা।”
Feeling blessed to be a part of Maa Durga Pujo’s Mahashashti celebrations. https://t.co/i2BHHu33jX
— Narendra Modi (@narendramodi) October 22, 2020
কেন্দ্রীয় সরকারের চালু করা উজ্জ্বলা প্রকল্প থেকে শুরু করে, স্বচ্ছ ভারত প্রকল্পের মাধ্যমে প্রত্যেক বাড়িতে শৌচালয় তৈরি করা, জনধন যোজনার মাধ্যমে সবার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা, কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের সমান অধিকারের মতো প্রকল্প, গর্ভবতী মহিলাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য দেওয়া রেশনের কথা তুলে ধরেন তিনি। একইসঙ্গে ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ প্রকল্পের কথাও তুলে ধরেন দেশের সর্বোচ্চ প্রশাসক। তিনি বলেন, “মহিলারা মা দুর্গার প্রতীক, বিভিন্ন নীতি এবং প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা মহিলাদের ক্ষমতায়নের চেষ্টা করে যাচ্ছি।”
শক্তির আরাধিতা দেবীকে ঘরের মেয়ে হিসেবে যত্ন, আদর করার কথা তুরার পাশাপাশি বাঙালির চিরকালের প্রার্থনার কথা তুলে ধরেন তিনি। রায়গুণাকর ভারতচন্দ্রের লেখা অন্নদামঙ্গল থেকে ঈশ্বরী পাটনীর “আমার সন্তান যেন দুধে ভাতে”র কথা বাংলায় আবৃত্তি করলেন নরেন্দ্র মোদি। কখনও তুলে ধরলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল…’।
এদিনের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী জানান, তাঁর সরকার পূর্ব ভারতের উন্নয়নে বিশেষভাবে সচেষ্ট। আর এক্ষেত্রে বাংলার বিশেষ অবদান থাকবে এবং পূর্ব ভারতের উন্নয়ন বা এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ নেতৃত্ব দেবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী মোদি।
উৎসবের আবহে যেন করোনা পরিস্থিতির কথা কেউ ভুলে না যান, সেকথাও স্মরণ করে দেন নরেন্দ্র মোদি। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে উৎসবে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
Comments are closed.