অশান্তির আশঙ্কায় দাহ নির্যাতিতার দেহ, সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা উত্তরপ্রদেশ সরকারের
বীরেন ভট্টাচার্য, নয়াদিল্লি
হাতরাস কাণ্ড এবং তার প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে আসমুদ্র হিমালয়। হাতরাসে যুবতীর ওপর অকথ্য অত্যাচার এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। যদিও মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকার জানাল, বড় ধরনের অশান্তি যাতে না হয়, তার জন্যই মধ্যরাতে নির্যাতিতার দেহ দাহ করা হয়েছে।
শীর্ষ আদালতে যোগী প্রশাসন তাদের হলফনামায় জানিয়েছে, বাবরি মসজিদ নিয়ে রায়দানের কারণে বড় অশান্তি এবং আইশৃঙ্খলায় বড় রকমের অবনতি হওয়ার ব্যাপারে গোয়েন্দা রিপোর্ট ছিল। সেই জন্যই সেদিন রাত ২.৩০ নাগাদ নির্যাতিতার দেহ দাহ করা হয়েছে। লখনউয়ের তরফে শীর্ষ আদালতে আরও জানানো হয়, উত্তরপ্রদেশের হাতরাসের ঘটনা নিয়ে টেলিভিশন, খবরের কাগজ এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় বড় ধরনের ষড়যন্ত্র চলছিল। পাশাপাশি, “যেহেতু বিষয়টি সারাদেশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে, সেই জন্য কেন্দ্রীয় সংস্থার মাধ্যমে এর তদন্ত হওয়া উচিত।” হাতরাসের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের জন্য জোরালো দাবি করে সুপ্রিম কোর্টে উত্তরপ্রদেশ সরকার তদন্তের বিস্তারিত জানিয়েছে।
এদিকে হাতরাসে রাজনৈতিক দলগুলির যাতায়াত অব্যাহত। এদিন সকালে সেখানে যাওয়ার পথে মথুরায় আটক করা হয় পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া এবং ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার কর্মীদের। নির্যাতিতার পরিবারের প্রতি প্রশাসনের “দুর্ব্যবহারে”র ভুল সংশোধন করে নিয়ে তাঁদের বিচার দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিএসপি নেত্রী মায়াবতী। অন্যদিকে ছত্রিশগড়ে কংগ্রেস এবং ভীম আর্মির কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। ১৪৪ ধারা অমান্য করে হাতরাস যাওয়ার চেষ্টা করায় ভীম আর্মি নেতা চন্দ্রশেখর আজাদ, সমাজবাদী পার্টি এবং রাষ্ট্রীয় লোকদল মিলিয়ে মোট ৬৮০ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। বিদেশেও হাতরাস কাণ্ডের প্রভাব পড়েছে। ৪ অক্টোবর নিউইয়র্কের টাইমস স্কোয়ারে আম্বেদকর ইন্টারন্যাশনাল মিশনের ব্যানারে দোষীদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ হয়। হাতরাসের এই দেশজুড়ে বিক্ষোভের মধ্যেই এদিন শীর্ষ আদালতে এবং ফের একবার সিবিআই তদন্তের দাবি তুলল যোগী সরকার।
Comments are closed.