পুজোর আগেই রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, পুজোর পর জেপি নাড্ডা
বীরেন ভট্টাচার্য, নয়াদিল্লি
পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের ঢাকে কাঠি প্রায় পড়ে গিয়েছে বলাই যায়, অপেক্ষা শুধু উৎসবের মরসুম কাটার। তারপরেই ঝাঁপিয়ে পড়বে বাম, ডান, সব শিবিরই। তবে এবারের বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে জোরদার প্রচারে নামছে বিজেপি। দুর্গাপুজোর আগেই সম্ভবত রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, এবং পুজোর পর আসবেন দলের সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। দলীয় নেতাদের সঙ্গে সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি। তবে সেখানেই তাঁর বাংলা সফর সীমিত থাকবে, নাকি জনসভাও করবেন তা স্পষ্ট করেননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
বৃহস্পতিবার দলের সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার বাড়িতে সাড়ে তিন ঘণ্টা বৈঠক হয় বিজেপির বঙ্গ ব্রিগেডের। উপস্থিত ছিলেন অমিত শাহ, দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, শিবপ্রকাশ, মুকুল রায়, অরুণ সিং, রাহুল সিনহার মতো বিজেপির রাজ্য নেতারা। সূত্রের খবর, রাজ্য নেতৃত্বের তরফে সম্প্রতি দলের বিভিন্ন কর্মসূচির কথা জানানো হয়েছে শীর্ষ নেতৃত্বকে। সঙ্গে দেওয়া হয়েছে সেই কর্মসূচিগুলির ছবি ও ভিডিয়ো, যা দেখে খুশি গেরুয়া শিবিরের শীর্ষকর্তারা। সেখানেই রাজ্য নেতাদের তরফে অমিত শাহ এবং জেপি নাড্ডাকে রাজ্যে আসার অনুরোধ জানানো হয়। সেই অনুরোধে সম্মতি দিয়েছেন দুই শীর্ষনেতাই।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি বিল, আমফান দুর্নীতি, কৃষি নিধির মতো বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হবে বিজেপি। কৃষি বিল নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে এক রাজ্য নেতা জানান, বিধানসভা নির্বাচনে কৃষি বিলের পাল্টা প্রচার চালানো হবে। সেই সঙ্গে ৫ অক্টোবর বিডিও অফিস ঘেরাও এবং ৮ অক্টোবর নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। এই অভিযানগুলির মধ্যে দিয়ে ২১-এর বিধানসভার লক্ষ্যে জোরদার প্রচারে নামবে বিজেপি। যদিও তা কিছুটা মহড়া বলেই জানান এক বিজেপি নেতা। পুজোর পরেই ভোটের মূল প্রচার শুরু হবে বলে সূত্রের খবর।
এরইমধ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আবহে রাহুল সিনহার বিদ্রোহ দমন করা সম্ভব হয়েছে বলে সূত্রের খবর। কেন্দ্রীয় নেতা তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন বলে খবর। অন্যদিকে বিধানসভা নির্বাচনে সবার সহযোগিতা নিয়ে চলার আবেদন জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিনের বৈঠকে মূলত ভোটের আগে বাংলার লড়াইয়ের কৌশল নিয়ে বেশ কিছুটা আলোচনা হয়েছে এবং কমিটি নিয়েও আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে। যদিও কাকে কোন দায়িত্ব দেওয়া হবে তা এখনও ঠিক হয়নি। সূত্রের খবর, বিহার বিধানসভা নির্বাচনের পর্ব মিটলেই বাংলা নিয়ে পুরোদমে ঝাঁপাবে গেরুয়া শিবির।
Comments are closed.