পোস্ট অফিস কর্মীদের সংগঠিত করতে উদ্যোগ ভারতীয় জনতা মজদুর ট্রেড ইউনিয়নের
রূপম চট্টোপাধ্যায়
দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র ভারতীয় ডাক পরিষেবা। ১৭৬৪ সালে এই ডাক বিভগের যাত্রা শুরু হয়েছিল। গত ২৫৬ বছর ধরে দেশের এক প্রান্তের সঙ্গে অন্য প্রান্তকে জুড়ে রেখেছে এই ডাক বিভাগ। ২০১৯-২০ সালের প্রকাশিত বিভাগীয় প্রতিবেদন অনুসারে বর্তমানে ডাক পরিষেবার সাথে যুক্ত কর্মীর সংখ্যা প্রায় ৪ লক্ষ ৫০ হাজার। দেশে নানা আঙ্গিকে ১ লক্ষ ৫৫ হাজার ১৫টি পোস্ট অফিস আছে।
প্রযুক্তির সংস্কারের ফলে ‘ডাক ও তার’ বিভাগ আজ শুধুই ‘ডাক’ বিভাগে পরিণত হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এই পরিষেবাকে আরও উন্নত করতে, এর সঙ্গে যুক্ত বিপুল সংখ্যক কর্মচারীর চাকরির নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধাকে বিস্তৃত করতে ভারতীয় জনতা মজদুর ট্রেড ইউনিয়ন (BJMTU)-এর নতুন উদ্যোগে ডাক বিভাগের কর্মচারী মহলে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে। চিঠিপত্র, পার্সেল আদানপ্রদানের সঙ্গে স্বল্প সঞ্চয়ে ডাক বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। অথচ সাব পোস্ট অফিসগুলোতে পরিকাঠামোগত সমস্যা ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মী না থাকার ফলে ডাক পরিষেবা কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পাচ্ছে না। অন্যদিকে ডাক পরিষেবার খামতির জন্য গজিয়ে উঠছে একের পর এক ক্যুরিয়ার সংস্থা। প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছে সরকারি ডাক বিভাগ। এই পরিস্থিতিতে ডাক বিভাগের কর্মচারীদের স্বার্থে এগিয়ে এসেছে ভারতীয় জনতা মজদুর ট্রেড ইউনিয়ন।
মঙ্গলবার দিল্লিতে সংগঠনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সাংবাদিক বৈঠকে BJMTU পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বৈদ্য দে জানিয়েছেন, যেহেতু ডাক পরিষেবায় কর্মীদের স্টাফ ইউনিয়ন করার নিয়ম নেই, তাই তারা কর্মীদের নিয়ে স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন গড়ে তুলেছেন। দেশের যে ২২টি রাজ্যে ডাকঘর আছে সেখানকার সকল কর্মচারীদের এই সংগঠনে সামিল করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। দিল্লির এই সাংবাদিক বৈঠকে হাজির ছিলেন BJMTU-এর জাতীয় সভাপতি নীতেশ পাল, জাতীয় কার্যনির্বাহী সভাপতি সাধন তালুকদার, দিল্লির রাজ্য সভাপতি অনিল ত্যাগী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কার্যনির্বাহী সভাপতি দীপ্তিমান বসু, রাজ্য সহ-সভাপতি প্রদীপ ধর ও মাধবী বিশ্বাস। সর্বভারতীয় সভাপতি নীতেশ পাল জানিয়েছেন, ‘শীঘ্রই দিল্লিতে তারা নতুন কমিটি গঠন করবেন।’
Comments are closed.