বিষাক্ত কালাচ-গোখরো এবং নির্বিষ দাঁড়াশ সাপ উদ্ধার সর্পপ্রেমী দেবরাজের

নিজস্ব সংবাদদাতা : লোকালয় থেকে পরপর সাপ উদ্ধার করে সাপদের যেমন প্রাণে বাঁচাচ্ছেন, তেমনি সাপ উদ্ধার করে এলাকার জনগণকে সাপের আতঙ্ক থেকে রেহাই দিচ্ছেন সর্পপ্রেমী যুবক দেবরাজ চক্রবর্তী। পরপর তিন দিনে মেদিনীপুর শহর এলাকায় দুটি বিষাক্ত সাপ ও একটি নির্বিষ দাঁড়াশ সাপ উদ্ধার করলেন মেদিনীপুরের বন্যপ্রাণপ্রেমী ও সর্পপ্রেমী যুবক দেবরাজ।
মঙ্গলবার রাত এগারোটা নাগাদ কাজ সেরে মহতাবপুরে নিজের বাড়ির টিউবওয়েলে হাতমুখ ধুয়ে যাওয়ার সময় পশুপ্রেমী যুবক শিবু রানা লক্ষ্য করেন একটি বিষাক্ত কালাচ সাপ ওখানে উপস্থিত রয়েছে। যেটা প্রায় তাঁকে ছুঁয়ে একধারে অবস্থান করছে। একটু এদিক-ওদিক পা ফেললেই বিপদে পড়তেন শিবু রানা। তিনি তৎক্ষণাৎ ফোনে সর্প উদ্ধারের কাজে বিশেষজ্ঞ যুবক দেবরাজ চক্রবর্তীর সাথে যোগাযোগ করেন। মিনিট পনেরোর মধ্যে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সাপটিকে উদ্ধার করেন দেবরাজবাবু।
এছাড়াও খবর পেয়ে বুধবার বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়য়ের দক্ষিণদিকের গেট ও গোপ কলেজের মাঝামাঝি এলাকায় একটি সেলুন দোকান থেকে একটি গোখরো উদ্ধার করেন দেবরাজ। এই গোখরেটি একটু জখম ছিল। উদ্ধারের পর এর চিকিৎসা হয়। এছাড়াও বৃহস্পতিবার শহরের নিমতলা চক এলাকা থেকে একটি নির্বিষ দাঁড়াশ সাপও উদ্ধার করেন তিনি। দুটি সাপকে জঙ্গলে ছেড়ে দিয়েছেন দেবরাজবাবু। বাকি জখম গোখরোর চিকিৎসা চলছে এখনও। সুস্থ হলেই জঙ্গলে ছেড়ে দেবেন।
দেবরাজ চক্রবর্তীর কথায়, কোথাও সাপ বের হলে মারবেন না, তাঁকে খবর দিলে তিনি সাপ উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় ছেড়ে দেবেন। তিনি আরও বলেন জীবজগতের বৈচিত্র্য ও ভারসাম্য রক্ষায় সাপ বাঁচিয়ে রাখা খুবই জরুরি।
Comments are closed.