দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে মর্মান্তিক পথদুর্ঘটনা, প্রাণ হারালেন পুলিশ আধিকারিক-সহ তিন
নিজস্ব সংবাদদাতা : দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের উপর মর্মান্তিক পথদুর্ঘটনায় প্রাণ গেল রাজ্য পুলিশের কম্যান্ডিং অফিসার দেবশ্রী চট্টোপাধ্যায়-সহ তিন জনের। হুগলির দাদপুর থানার হোদলা ব্রিজের কাছে সাতসকালে দাঁড়িয়ে থাকা ১২ চাকার বালির লরির পিছনে ধাক্কা মারে দেবশ্রীদের স্করপিও গাড়ি। প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রচণ্ড গতিতে দাঁড়িয়ে থাকা বালির ট্রাকে ধাক্কা মারে স্করপিওটি। ফলে দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছিল ওই পুলিশ আধিকারিকের দেহ। গুরুতর জখম অবস্থায় দেবশ্রী চট্টোপাধ্যায়-সহ নিরাপত্তারক্ষী তাপস বর্মণ ও গাড়ির চালক মনোজ সাহাকে নিয়ে যাওয়া হয় চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার পর চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে যান হুগলির গ্রামীণ পুলিশ সুপার তথাগত বসু। ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে দেহগুলি।
বৃহস্পতিবার রাতে শিলিগুড়ির ডাবগ্রাম থেকে গাড়ি নিয়ে বেহালার পর্ণশ্রীতে নিজের বাড়ি ফিরছিলেন কম্যান্ডিং অফিসার দেবশ্রী চট্টোপাধ্যায়। রাজ্য পুলিশের ১২নং ব্যাটেলিয়নের এই কম্যান্ডিং অফিসারের পোস্টিং ছিল শিলিগুড়ির ডাবগ্রামে।
কলকাতা পুলিশের ওসি হওয়ার আগে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের ট্র্যাফিকিং উইং-এর ইনচার্জ ছিলেন তিনি। কলকাতা পুলিশের প্রথম মহিলা ওসি ছিলেন দেবশ্রী চট্টোপাধ্যায়। ২০১০ সালে উত্তর বন্দর থানায় ওসি হন তিনি। ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনের পর যে অফিসারদের কলকাতা থেকে জেলায় ডেপুটেশনে পাঠানো হয়েছিল, তিনি ছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম। দেবশ্রীর স্বামীও কলকাতা পুলিশের আধিকারিক ছিলেন। তিনি স্বেচ্ছা অবসর নেন। তাঁদের এক পুত্র সন্তান রয়েছে। কলকাতা ও রাজ্য পুলিশের এমন দক্ষ একজন আধিকারিককে হারিয়ে শোকের ছায়া পুলিশমহলে।
Comments are closed.