জন্মদিনে নচি-কথা : চিরাচরিত স্রোতের বিরুদ্ধে হাঁটা এক গায়ক
গৌতম চ্যাটার্জি
টাইম মেশিনে চড়েছেন কখনও? টাইম মেশিন থাকলে তাতে চড়ে পিছনো যেত অবশ্যই। এক ধাক্কায় যদি যাওয়া যেত প্রায় ত্রিশটা বছরকে পিছনে ফেলে! স্ক্রিনে ফুটে উঠত একটা ছেলের ছবি। যে ছেলেটা জীবনযুদ্ধে প্রত্যেকটা দিন নিজেকে ভাসিয়ে দিচ্ছে। তার মধ্যে রয়েছে ছাইচাপা আগুন। যে আগুন নিয়ে লিখছে, সুর বাঁধছে, তৈরি একের পর পর এক গান। প্রথাগত সমাজের বাইরে সে দেখে দুনিয়াটাকে। তিনি আর কেউ নন, তিনি নচিকেতা।
বাংলা গানের জগতে নচিকেতা চক্রবর্তী না এলে বাংলা গানের অনেক কিছুই বাকি থেকে যেত। পয়লা সেপ্টেম্বর বাংলা অন্যতম বিখ্যাত জীবনমুখী গায়ক পার করলেন আরও এক বসন্ত। নব্বইয়ের এর দশকে একগাল দাড়ির তরুণ নচিকেতা ছক ভাঙা বাংলা গানের যে বাঁকবদল ঘটিয়েছিলেন, তার পথ পরবর্তীকালে অনুসরণ করেছেন অনেক শিল্পীই। কিন্তু নচিকেতা হতে পারেননি কেউই। হেমন্ত-সলিল বিহীন শুকিয়ে যাওয়া বাংলা গানে একমাত্র নচিকেতাই বলতে পারেন এই বেশ ভালো আছি! হারমোনিয়াম ও ক্ল্যাসিকাল গানে অসামান্য দক্ষ নচিকেতা দু-দশকেরও বেশি সময় ধরে উপহার দিয়ে এসেছেন একের পর এক মন-প্রাঁণ ছুঁয়ে যাওয়া গান। ১৯৯৩ সালে তাঁর প্রথম অ্যালবাম ‘এই বেশ ভালো আছি’ বেরোনোর পর সাফল্যের যে শিখরে পৌঁছেছিলেন নচিকেতা। আজও রয়েছেন ঠিক সেখানেই। এই হলেন নচিকেতা। বরাবর ব্যতিক্রমী। চিরাচরিত স্রোতের বিরুদ্ধে হাঁটা এক গায়ক, কবি ও স্পষ্টবাদী এক শিল্পী।
Comments are closed.