প্রাক্তন সেনাকর্মীদের কুর্নিশ ঐতিহ্যবাহী পাড়ার স্বাধীনতা দিবস উৎযাপনে
নিজস্ব সংবাদদাতা : বিশ্বব্যাপী মহামারী বদলে দিয়েছে সবকিছুই। তবু বদলাতে পারেনি ভারতীয়দের আবেগ। দিকে দিকে স্বাধীনতা দিবসের উদযাপন তেমনই বার্তা দিল। ৭৪তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন তাই এবার অন্যবারের থেকে একেবারেই আলাদা। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই সর্বত্র পালন গর্বের এই দিনটি। বসিরহাটের ঐতিহ্যবাহী একটি পাড়ার স্বাধীনতা উৎসব পালন হল মহাসমারোহে।
বসিরহাট বড় জিরাকপুরের “পাড়া কালচার” আয়োজন করেছিল স্বাধীনতা দিবস উদযাপন। এই পাড়ার দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য, শিক্ষা ও সংস্কৃতির মেলবন্ধন। প্রত্যেকটি পরিবারের শিশু ও কিশোর-কিশোরীরা পড়াশোনার পাশাপাশি সংস্কৃতিকে বহন করে চলে। দেশরক্ষার কাজে নিয়োজিত পাড়ার ৮টি পরিবার। তাদেরকে বিশেষ সম্মান প্রদান করার উদ্দেশে এই দিনটিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে পাড়ার অন্যান্য অধিবাসীরা।
শনিবার সকাল ৯টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও সন্ধ্যায় ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দুই প্রাক্তন সেনাকর্মী অরুণ কুমার বর্মণ ও প্রভাকর দাসকে জাতীয় পতকা প্রদানের মাধ্যমে সম্মান জানিয়ে মূল অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। দেশাত্মবোধক সঙ্গীত, কবিতা ও নাচের মাধ্যমে সন্ধ্যায় অংশগ্রহণ করেছিলেন প্রায় ২৫ জন শিল্পী। ইতু্, চন্দনা, মিনাক্ষী, রাখী, কোয়েল, পায়েল, তন্বিশ্রী, স্বর্ণালী, অয়ন, অমিও, অনুষ্কা, তিয়াশা, পৌষালী, সোমা, অন্বেষা, সুষ্মিতা, তিতলী, সাক্ষী, অভিনব, ঋক, গণেশ, ভাস্কর প্রমুখদের অংশগ্রহণ বিশেষ উল্লেখযোগ্য। সমগ্র অনুষ্ঠানটি এক সুতোয় গেঁথেছেন অপূর্ব মণ্ডল।
পতাকা উত্তোলনের পর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে স্বাধীনতার অর্থ নিয়ে বক্তব্য রেখেছিলেন বিশিষ্টরা। বরুণ মাঝির বক্তব্য “এ স্বাধীনতা আমরা চাইনি” বিশেষ দাগ কাটে। করোনাকালে নির্দিষ্ট দূরত্ববিধি মেনেই অনুষ্ঠান সফল হয়েছে বলে দাবি উদ্যোক্তাদের। সচেতন ভাবে এই মহামারীর সঙ্গে লড়াই করে জয়ী হওয়া, স্বাধীনতার লড়াইয়ের থেকে কম কিছু নয়, এই বার্তা দিয়েই জাতীয়সংগীতের মাধ্যমে শেষ হয় অনুষ্ঠান।
Comments are closed.