করোনায় আক্রান্ত বর্ষীয়ান বিধায়ক জটু লাহিড়ী, উদ্বেগ হাওড়ায়
নিজস্ব সংবাদদাতা : কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন রাজ্যের বর্ষীয়ান বিধায়ক জটু লাহিড়ী (Jatu Lahiri)। করোনা টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর হাওড়ার শিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ককে ভর্তি করা হয় মুকুন্দপুরের আর এন টেগোর হাসপাতালে।
এর আগে সোমবার ৮৫ বছর বয়সি জটু লাহিড়ীর রক্তচাপ নেমে যাওয়ায় তাঁর বাড়ির কাছাকাছি আন্দুল রোডের নারায়ণা হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। নারায়ণায় কোভিড পরীক্ষা করা হলে মঙ্গলবার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপরই দ্রুত তাঁকে মুকুন্দপুরের আর এন টেগোর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। আপাতত সেখানেই পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলেই জানা গেছে।
জটু লাহিড়ী হাওড়া তথা শিবপুর বিধানসভা এলাকার জনপ্রিয় দাপুটে নেতা। ১৯৯১ সাল থেকে শিবপুরের বিধায়ক তিনি। টানা পাঁচবারের বিধায়ক জটু লাহিড়ী ১৯৯১ এবং ১৯৯৬ সালে জয়ী হন কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে। মাঝে শুধু ২০০৬ সালে ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী জগন্নাথ ভট্টাচার্যের কাছে হেরে যান শিবপুর কেন্দ্র থেকে। তারপর ২০১১ ও ২০১৬ সাল ফের জিতে আসেন তিনি। রাজ্য বিধানসভায় প্রোটেম স্পিকার হিসেবেও কাজ করেছেন এই বর্ষীয়ান বিধায়ক।
জটুবাবুর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের ইউএসপি হল তাঁর জনসংযোগ। ধুতি-পাঞ্জাবি পরে লুনা চালিয়ে শিবপুরের অলিগলিতে ঘুরে বেড়িয়ে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছেছেন তিনি। মূলত ইমারতি ব্যবসায়ী হলেও জনসেবাই তাঁর মূল মন্ত্র। একথা তাঁর বিরোধীরাও অকপটে স্বীকার করেন। এহেন নেতার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবরে স্বভাবতই খোঁজখবর শুরু করেন দলীয় সহকর্মীরা থেকে বিরোধী দলের নেতানেত্রীরা। তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন হাওড়া শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি লক্ষ্মীরতন শুক্লাও।
৩০ জুলাই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র মারা গেলে তাঁর মরদেহ বিধানসভায় আনা হয়। সেখানে এক সময়ের সহযোদ্ধাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন জটু লাহিড়ী। বিধানসভায় থাকাকালীনই অসুস্থ হয়ে পড়েন জটুবাবু। তাই এই প্রবীণ বিধায়কের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছিলেন ইতিমধ্যেই তাঁরা হোম আইসোলেশন বা কোভিড পরীক্ষা করিয়ে নিয়েছেন।
Comments are closed.