Bengal Fast
বিশ্ব মাঝে বাংলা খবর

কাশ্মীর ভাঙার বর্ষপূর্তি, অশান্তির আশঙ্কায় ফের কারফিউ জারি

বীরেন ভট্টাচার্য, নয়াদিল্লি

২০১৯-এর ৫ অগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir)বড় পরিবর্তন এনেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। রদ করা হয়েছিল ৩৭০ ধারা (Article 370)। কেন্দ্রের সেই সিদ্ধান্তের বর্ষপূর্তিতে বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং পাকিস্তানের মদতে কিছু সংগঠন বিক্ষোভ দেখতে পারে বা এই দিনটিকে কালো দিন হিসেবে দেখে কোনও অশান্তি পাকাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যে কারণে উপত্যকায় ফের জারি করা আজ সকাল থেকে জারি করা হয়েছ কারফিউ। জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ছাড়া বাকিদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। মঙ্গল ও বুধবার এই কারফিউ জারি থাকবে।

৩৭০ ধারায় জম্মু ও কাশ্মীর বিশেষ কিছু মর্যাদা পেয়ে থাকত। ক্যাবিনেটের সিদ্ধান্ত জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়ে দেন, জম্মু ও কাশ্মীর দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ হবে। একটি লাদাখ ও অন্যটি জম্মু-কাশ্মীর। বিধানসভা ছাড়াই স্বতন্ত্র কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হবে লাদাখ। আর জম্মু ও কাশ্মীরকেও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে ঘোষণা করলেও সেখানে থাকবে বিধানসভা। পাশাপাশি দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলেই দু’জন লেফটেন্যান্ট গভর্নর থাকবেন।

- Sponsored -

৩৭০ ধারা সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল ১৯৪৯ সালের ১৭ অক্টোবর। এই ধারাবলে জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারতের সংবিধানের আওতামুক্ত রাখা হয় (অনুচ্ছেদ ১ ছাড়া)। এমনকী নিজস্ব সংবিধানের খসড়া তৈরির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল জম্মু ও কাশ্মীরকে। দীর্ঘদিনের সেই বিতর্কিত ধারাকে অবলুপ্তি ঘটায় কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। ২০১৯-এর ৫ অগস্টের ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উত্তাল হয়ে ওঠে উপত্যকা। মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন। আর তাদের উস্কানি দিতে থাকে প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তান। সে সময় অনির্দিষ্টকালের জন্য জারি করে দেওয়া হয় ১৪৪ ধারা। জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি এতটাই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে যে, উপত্যকার সমস্ত প্রভাবশালী নেতানেত্রীদের কার্যত গৃহবন্দি করে দেওয়া হয়। গৃহবন্দি হয়ে পড়েন পিডিপি প্রধান মেহবুবা মুফতি, ন্যাশনাল কনফারেন্সের ওমর আবদুল্লা, ফারুক অবদুল্লা এবং জম্মু কাশ্মীর পিপলস কনফারেন্সের সাজ্জাদ লোন।

Subscribe to our Whatsapp Group for daily news alerts.


You might also like

- sponsored -

Comments are closed.